ঢাকাMonday , 14 November 2022
আজকের সর্বশেষ সবখবর

মণিরামপুরে গ্রাম ডাক্তারের ভুল চিকিৎসায় স্কুল ছাত্রীর হাতে পঁচন ।। আদালতে মামলা

Tito
November 14, 2022 10:43 am
Link Copied!

নূরুল হক।।
যশোরের মণিরামপুরে মোঃ নজরুল ইসলাম নামে এক গ্রাম ডাক্তারের ভুল চিকিৎসার শিকার হয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রীর হাতে পঁচন ধরে পঙ্গুত্ব হবার উপক্রম। সে উপজেলার রোহিতা গ্রামের মোঃ আমিনুর রহমানের কন্যা এবং রোহিতা শাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। হাত পঁচনের কারণে বর্তমানে ওই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার ক্রমেই অবনতি ঘটছে। অভিযুক্ত গ্রাম্য ডাক্তারের বিচার চেয়ে আদালতে মামলা করেছেন শিক্ষার্থীল পিতা মোঃ আমিনুর। যশোর আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা বসু মামলাটি আমলে নিয়ে পিবিআই যশোরকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদনের প্রদনের নির্দেশ দিয়েছেন।
মামলার বিবরণ ও অসুস্থ ছাত্রীর পিতার তথ্য মতে, গত ৩০ সেপ্টেম্বর উপজেলা রোহিতা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী নিজ বাড়ীতে পা পিচলে পড়ে যায়। এতে মেয়েটির বাম হাতের কনুইতে কিছুটা চোট পায়। এ সময়ে তাকে স্থানীয় রোহিতা বাজারের গ্রাম্য ডাক্তার মোঃ নজরুল ইসলামের কাছে জন্য নিয়ে যায়। নজরুল নিজেকে বহু রোগের চিকিৎসক হিসেবে পরিচয় দিয়ে রোহিতা বাজারে মেসার্স নাজমুল হাসান ফার্মেসী সাইন বোর্ড সম্বলিত একটি ঔষুধের দোকান দিয়ে চিকিৎসা দিয়ে থাকে। সে নিজেকে (আর,এম,পি) বøু স্টার (ইউএসএআইডি)-এর চিকিৎসক হিসেবে দাবী করে। তিনি ওই শিক্ষার্থীর হাতের কনুইয়ের সামন্য সমস্যার কথা জেনেও এবং অর্থোপেডিকের চিকিৎসা সম্পর্কে কোন ধারনা না থাকা সত্বেও কোন এক্সে না করেই তিনি মেয়েটির সম্পূর্ণ হাত প্লাস্টার করে দেন। প্লাস্টার করার পূর্বে তিনি মেয়েটির শরীরে ইঞ্জেকশন পুশসহ হাতের সমস্ত হাতে বিভিন্ন রকমের তরল জাতীয় পদার্থ প্রয়োগ করেন এবং খাবার ঔষুধের জন্য একটি প্রেসক্রিপশন ধরিয়ে দেন। প্রেসক্রিপশনের ঔষুধ গুলো তার দোকান থেকেই ক্রয় করতে হয়। এভাবেই চিকিৎসা চলতে থাকায় ৬/৭দিন পর মেয়েটির হাত জ্বালাপোড়া করতে থাকে। অসহ্য যন্ত্রনায় কাতর অসুস্থ মেয়েটিকে নিয়ে তার পিতা যশোর নোভা মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ডাঃ মোঃ গোলাম রসুলের কাছে যায়। সেখানে তার এক্সে করানো হয়। চিকিৎসক এক্সে প্লেট ও রিপোর্ট দেখে বলেন যে আদৌ মেয়েটির হাতের কোন সমস্য হয়নি এবং কোন হাড় ভাঙ্গেনি। মেয়েটির হাতের প্লাস্টার খুলে দেখা যায় তাতে পঁচনসহ সমস্ত চামড়া পুড়ে গেছে এবং প্রচন্ড দূর্ঘন্ধ বের হচ্ছে। এরপর মেয়েটির যথাযথ চিকিৎসার জন্য যশোর সেন্ট্রাল হসপিটাল এন্ড ডায়াগনস্টিক কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ বাবুল কিশোর বিশ্বাসের কাছে নিয়ে যায়। সেখানে বর্তমানে তার চিকিৎসা চলছে।
এহেনও ভুল চিকিৎসার জন্য বিচার দাবী করে অসুস্থ মেয়েটির পিতা চলতি ইংরেজি সালের ৯ নভেম্বর বুধবার গ্রাম ডাক্তার মোঃ নজরুল ইসলামকে বিবাদী করে অ্যাড. বশির আহম্মেদ খান-এর মাধ্যমে যশোর আদালতে একটি মামলা করেন।
আদালতে মামলা করার বিষয়ে জানতে চাইলে অ্যাড. বশির আহমেদ খান বলেন, বাংলাদেশ মেডিকেল ও ডেন্টাল কাউন্সিল আইন ২০১০ এর ২৮ ও ২৯ ধারায় ৩৩৬/৩৩৮ দন্ডবিধি মোতাবেক যশোর আদালতে অসুস্থ মেয়েটির পিতা মোঃ আমিনুর বাদী হয়ে মামলাটি আমার মাধ্যমেই করেছেন। আদালতের বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সম্পা বসু মামলাটি আমলে নিয়ে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) যশোরকে তদন্তপূর্বক প্রতিবেদন প্রদানের নির্দেশ প্রদান করেছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত গ্রাম ডাক্তার মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, আমি গত ৩০ বছর যাবৎ এ এলাকার মানুষদের চিৎিসাসেবা দিয়ে আসছি। যদি আমার চিকিৎসাসেবা ভুল হতো তাহলে এতদিন এ এলাকায় কিভাবে টিকে রইলাম? আমি সঠিক চিকিৎসা দিয়েছি তাদের পরিবারের গাফিলতির কারণেই মেয়েটির হাতের পঁচন ধরেছে। এতে আমার কোন দাই নেই। মামলার বিষয় সম্পর্কে তিনি বলেন, আমিও শুনেছি মামলা করেছেন। আশাকরি আদালত সঠিক বিচার করবেন।

এই সাইটে নিজম্ব নিউজ তৈরির পাশাপাশি বিভিন্ন নিউজ সাইট থেকে খবর সংগ্রহ করে সংশ্লিষ্ট সূত্রসহ প্রকাশ করে থাকি। তাই কোন খবর নিয়ে আপত্তি বা অভিযোগ থাকলে সংশ্লিষ্ট নিউজ সাইটের কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার অনুরোধ রইলো।বিনা অনুমতিতে এই সাইটের সংবাদ, আলোকচিত্র অডিও ও ভিডিও ব্যবহার করা বেআইনি।